Wednesday, December 4, 2024

সর্বশেষ

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস

দেশের বাইরে দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের। রাওয়ালপিন্ডিতে ২ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ঘরের মাঠে টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো শান মাসুদের দল।

করাচির বদলে রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের রেকর্ড জুটিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান।

পেসারদের দাপটে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৮৫ রান করে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে ওপেনার জাকিরের ব্যাট থেকে।

এর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাতের। সকাল থেকে রাওয়ালপিন্ডির আকাশে ছিল কালো মেঘের ঘনঘটা। তবে সব শঙ্কা দূর করে নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় ও স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৮৫ রানের। আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে আগেভাগে শেষ হওয়া চতুর্থ দিনে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৪২ রান।

ফলে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৪৩ রান। এ লক্ষ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে পঞ্চম দিনের শুরুটা ভালো করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম।

অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেন জাকির। ৩৯ বলে করেন ৪০ রান। মির হামজার বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন এ ওপেনার। এতে ভাঙে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন আরেক ওপেনার সাদমান।

খুররম শেহজাদের হাফভলি বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মিডঅনে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শান মাসুদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে শান্তকে সাজঘরে ফেরান আগা সালমান।

এরপর মুমিনুলের সঙ্গী হন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে সাইম আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল (৩৪ রান)।

পরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক। সাকিব ২১ ও মুশফিক ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

সর্বশেষ

নির্বাচিত

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.